আজকাল, একটি মোবাইল কেনার আগেই আপনার যদি কিছু সাধারণ জ্ঞান, টিপস বা নিয়ম জানা থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনি যেই দামেই মোবাইল কিনছেন, সেই দামের একটি সেরা, আকর্ষণীয় এবং সব থেকে ভালো স্মার্টফোন কিনে নিতে পারবেন।
এবং তাই, এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের, এমন কিছু পরামর্শ দিবো, যেগুলো জানার পর আপনারা সব ধরণের ভালো মন্দ এবং ফিচারস দেখেই একটি স্মার্টফোন কিনতে পারবেন। তাছাড়া, একটি স্মার্টফোনে কি কি ফিচারস বা ফাঙ্কশন থাকতে হয় সেটাও আপনারা জেনে যাবেন।
সোজা ভাবে বললে, আজকের যুগে একটি স্মার্ট মোবাইল কেনার আগে আপনার যা যা জানার দরকার সবটাই আমি এখানে বলবো।
তাহলে চলুন, আমরা জেনেনেই যে, কিভাবে একটি মোবাইল কিনতে হয়, মোবাইল কেনার আগে কি কি দেখতে হয় এবং স্মার্টফোন কেনার আগেই কি কি জিনিসের বেপারে আপনার জেনে রাখাটা দরকার।
- মোবাইলের স্ক্রিন এবং ডিসপ্লে-
স্মার্টফোনের স্ক্রিন বা ডিসপ্লে বললে, আমরা খালি তার সাইজ (size) বা ডিসপ্লে কত বড়ো সেটাই দেখি। কিন্তু, screen size দেখার সাথে সাথে স্ক্রিনে ব্যবহার করা display HD না Full HD না কেবল WVGA সেটা দেখাটা অনেক জরুরি। অবশ্যই, মোবাইলের স্ক্রিনসাইজ 5 থেকে 6 ইঞ্চি এর ভেতরে থাকলে ভালো।
তাছাড়া, HD+ বা Full HD ডিসপ্লে থাকলে মোবাইলের স্ক্রিনে আপনি ভিডিও দেখে, গেম খেলে বা সাদা চোখে দেখেই অনেক ভালো পাবেন। ডিসপ্লের কোয়ালিটি অনেক আকর্ষণীয় (attractive) হবে।
এ ছাড়া, ডিসপ্লে যাতে IPS LCD বা তারথেকেও ভালো হয়, waterdrop notch ডিসপ্লে থাকলে আপনি premium এবং stylish display look পাবেন এবং শেষে pixel density ২৭০ PPI বা তার থেকেও বেশি থাকলে ভালো।
- ব্যাটারী পাওয়ার-
স্মার্টফোনে সবচেয়ে আগেই আমাদের যেই জিনিসটি দেখা জরুরি, সেটা হলো “মোবাইলের ব্যাটারী কত MaH এর“. যত বেশি maH এর মোবাইলের battery হবে, ততটাই বেশি (charge) চার্জ ব্যাকআপ (backup) মোবাইলে আপনি পাবেন।
স্মার্টফোন গুলোতে ব্যাকগ্রাউন্ড এবং ডাটা এতো বেশি ভাবে কাজ করে যে আপনি যদি তাকে ব্যবহার না করেও থাকেন তাহলেও আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারী নিজে নিজেই কমতে থাকবে।
এখন, আপনি যদি মোবাইল গেম খেলার জন্য ব্যবহার করেন বা ভিডিও, সিনেমা আদি দেখার জন্য, যদি তার ব্যাটারির maH power কম থাকে, তাহলে মোবাইলের চার্জ (charge) অনেক কম সময়েই শেষ হয়ে যাবে।
- মোবাইলের ক্যামেরা
আপনি যদি ছবি ভালো চান তবে নিজের মোবাইল থেকে হাই কোয়ালিটি ছবির আশা করেন তবে মোবাইলটি কেনার আগেই আপনার তার ক্যামেরা কোয়ালিটি দেখে নিতে হবে।
এমনিতে, ভালো হাই কোয়ালিটি ফটো ক্লিক করার জন্য ১৩ mp ব্যাক ক্যামেরা এবং ৮ mp ফ্রন্ট (front) ক্যামেরা থাকলেই যথেষ্ট।
তাছাড়া, আপনি যদি কেবল HD ফটো তুলার জন্যই মোবাইল কিনছেন তাহলে এর থেকেও বেশি মেগাপিক্সেল (megapixels) এর ক্যামেরা যেমন ১৬ mp বা তার থেকেও বেশি megapixels এর মোবাইল একটু বেশি দাম দিয়ে কিনতে পারেন।
- মোবাইলের processor
“মোবাইলের প্রসেসর কি ? কোন প্রসেসর ভালো“.
প্রসেসরের কোর (core) এবং স্পিড (speed) যদি কম হয়ে থাকে, তাহলে RAM বেশি থাকলেও আপনার মোবাইল স্লো কাজ করবে।
তাহলে, স্মার্টফোন কেনার আগেই মনে করে তার processor core এর সংখ্যা এবং speed অবশ্যই দেখবেন।
মোবাইল ফাস্ট এবং দ্রুত কাজ করার জন্য প্রসেসর “octa core” হওয়া ভালো।
ফলে, এই প্রসেসর মোবাইল ফোনে হওয়া সব রকমের ভারী ভারী কাজ অনেক সহজে প্রক্রিয়া (process) করতে পারে ফোন হ্যাং (hang) বা স্লো না করেই।
- মোবাইল ফোন থ্রি-জি নাকি ফোর-জি
বর্তমানে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হচ্ছে থ্রি জ(3G) ও ফোর জি(4G)। ৩ জি হচ্ছে থার্ড জেনারেশন মোবাইল নেটওয়ার্ক আর ৪ জি হচ্ছে ফোর্থ জেনারেশন মোবাইল নেটওয়ার্ক।
আপনার মোবাইল ফোনে ৩ জি সাপোর্ট করলে আপনি এক ধরণের ইন্টারনেট স্পীড পাবেন। আর ৪ জি থাকলে তার চেয়েও অনেক বেশি মানের ইন্টারনেট স্পীড পাবেন। আর ৫ জি হলেতো কথাই নেই। বর্তমানে ৫ জি মোবাইল বাজারে রিলিজ হয়েছে।
- কোন মোবাইল কোম্পানির ফোন ভালো-
মোবাইল কোম্পানির ফোন ভালো? এটা বলা মুশকিল। কারণ বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্র্যান্ড আছে যাদের মোবাইল অনেক ভালো মানের।তাই দুই একটির নাম বলা ঠিক নয়। অনেক মোবাইল কোম্পানির ফোন খুবই ভালো কোয়ালিটির। নিছে কিছু সচরাচর জনপ্রিয় মোবাইল ব্র্যান্ডের নাম দেওয়া হলো।
- স্যামসাং
- আইফোন
- শাওমি
- সিম্পনি
- অপো
- হুয়াওয়ে
- ভিভো
ReplyForward |
0 মন্তব্যসমূহ